” ক” তালিকা ভূক্ত জমি বলতে সাধারণত সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত একটি নির্দিষ্ট তালিকাভুক্ত জমিকে বোঝানো হয়, যা কিছু বিশেষ বিধিনিষেধের আওতায় থাকে। এটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন:
- সরকারি বা খাস জমি – সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত বা জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত জমি।
- খেলাধুলা বা জনসেবামূলক প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জমি – যেগুলো পার্ক, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির জন্য সংরক্ষিত।
- বিপদাপন্ন বা সংরক্ষিত এলাকা – যেমন বনাঞ্চল, জলাভূমি বা পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকা।
- ভূমি উন্নয়ন প্রকল্পভুক্ত জমি – যেখানে সরকারি বা বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
কোনো জমি যদি "ক তালিকা ভূক্ত" হয়, তাহলে সেটি ব্যক্তিগত মালিকানায় হস্তান্তর করা বা বিক্রি করা অনেক ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা বিধিনিষেধযুক্ত হতে পারে। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো জমির ব্যাপারে জানতে চান, তবে স্থানীয় ভূমি অফিস বা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করা উচিত।
"খ” তালিকা ভূক্ত জমি" বলতে সাধারণত সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত বিশেষ ধরনের জমিকে বোঝানো হয়, যা নির্দিষ্ট নিয়ম ও বিধানের আওতাধীন। বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় "খ তালিকা" বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় কিছু নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে, যেমন:
- উচ্ছেদকৃত বা অবৈধ দখলমুক্ত সরকারি জমি – সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকা জমি, যা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
- পূর্বে দখলে থাকা কিন্তু বর্তমানে সরকারী মালিকানাধীন জমি – এই ধরনের জমি সাধারণত পুনরায় বন্দোবস্ত বা অন্য সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়।
- নির্দিষ্ট পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতাভুক্ত জমি – যেখানে সরকার দরিদ্র বা পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়।
"খ তালিকা ভূক্ত জমি" সাধারণত ব্যক্তি মালিকানায় বিক্রি বা হস্তান্তর করা যায় না এবং সরকার এর ব্যবহারের ব্যাপারে বিশেষ নিয়ম আরোপ করতে পারে। এ ধরনের জমির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য স্থানীয় ভূমি অফিস বা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
বাংলাদেশে অর্পিত সম্পত্তি (Vested Property) সংক্রান্ত বিষয়গুলো "অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১" (সংশোধিত ২০১১) অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
এ
আইনের
আওতায়
অর্পিত সম্পত্তির "ক" তপশীল ও "খ" তপশীল নামে
দুটি
তালিকা
তৈরি
করা
হয়।
"ক" তপশীল জমি:
এ
তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তিগুলো সরকারের স্বত্বাধীনে স্থায়ীভাবে থেকে যাবে, যা
কোনো
ব্যক্তি বা
উত্তরাধিকারীদের কাছে
ফেরত
দেওয়া
হবে
না।
মূলত
সরকারি
কাজে
ব্যবহারের জন্য
সংরক্ষিত সম্পত্তি এই
তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা
হয়।
"খ" তপশীল জমি:
এ
তালিকায় থাকা
জমিগুলো প্রকৃত
মালিক
বা
তাদের
উত্তরাধিকারীদের ফেরত দেওয়ার জন্য নির্ধারিত হয়।
যদি
কেউ
যথাযথ
প্রমাণ
ও
আইনগত
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দাবি
করেন,
তাহলে
তিনি
তার
জমি
ফিরে
পেতে
পারেন।
"ক" ও "খ" তপশীল জমির টেবিল তালিকা:
তপশীল |
বর্ণনা |
ফেরতযোগ্যতা |
"ক" তপশীল |
স্থায়ীভাবে সরকারের দখলে
থাকা
সম্পত্তি |
ফেরতযোগ্য নয় |
"খ" তপশীল |
পূর্বের মালিক বা
উত্তরাধিকারীর দাবির ভিত্তিতে ফেরতযোগ্য সম্পত্তি |
ফেরতযোগ্য |
আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো জমি "ক" বা "খ" তপশীলভুক্ত কিনা তা জানতে চান, তাহলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (DC) অফিস, উপজেলা ভূমি অফিস, বা অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল-এ যোগাযোগ করা প্রয়োজন।
0 Comments