হেবাবিল এওয়াজনামা দলিল হলো একটি আইনি নথি, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি (দাতা) বিনা মূল্যে বা বিনিময় ছাড়াই অন্য একজন ব্যক্তি (গ্রহীতা)কে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করেন। এটি মূলত উপহার (হেবা) সম্পর্কিত দলিল, যেখানে এওয়াজনামা অর্থ হল বিনিময় ছাড়া স্বেচ্ছায় দেওয়া।
হেবাবিল এওয়াজনামা দলিলের বৈশিষ্ট্য:
- উপহার স্বরূপ প্রদান – এতে কোনো আর্থিক বিনিময় বা মূল্য নির্ধারণ করা হয় না।
- সম্পত্তির স্বত্ব হস্তান্তর – দাতা সম্পত্তির পূর্ণ মালিকানা গ্রহীতাকে দিয়ে দেন।
- আইনি স্বীকৃতি – এটি একটি বৈধ দলিল, যা রেজিস্ট্রি করলে আইনি ভিত্তি আরও শক্তিশালী হয়।
- গ্রহীতার দখল গ্রহণ আবশ্যক – হেবা কার্যকর হতে হলে গ্রহীতাকে সম্পত্তির দখল নিতে হয়।
হেবাবিল এওয়াজনামার গুরুত্ব:
- পারিবারিক সম্পত্তি হস্তান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।
- কর বা অন্যান্য আইনি বাধ্যবাধকতা এড়ানোর জন্য অনেকে এটি ব্যবহার করেন।
- উত্তরাধিকার আইনকে পাশ কাটিয়ে ইচ্ছামতো সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায়।
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট প্রসঙ্গে এটি জানতে চান, তাহলে বিস্তারিত বলুন, আমি সহায়তা করতে পারবো!
হেবাবিল এওয়াজনামা দলিল রেজিস্ট্রির খরচ কত?
১. রেজিস্ট্রেশন ফি: দলিলে উল্লেখিত মোট মূল্যের ১%।
২. স্ট্যাম্প শুল্ক: দলিলে উল্লেখিত মোট মূল্যের ১.৫%।
৩. স্থানীয় সরকার কর: সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীন সম্পত্তির জন্য দলিলে উল্লেখিত মোট মূল্যের ২% এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৩%।
৪. ই-ফি: ১০০ টাকা।
৫. এন-ফি ও এনএন-ফি: দলিলের প্রতি ৩০০ শব্দের জন্য এন-ফি ২৪ টাকা এবং এনএন-ফি ৩৬ টাকা।
ফি পরিশোধ পদ্ধতি:
রেজিস্ট্রেশন ফি, ই-ফি, এন-ফি: একটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১-২১৬১-০০০০-১৮২৬ তে জমা করতে হবে।
স্ট্যাম্প শুল্ক: পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১-১১০১-০০২০-১৩১১ তে জমা করতে হবে। দলিলে সর্বোচ্চ ১,২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহার করা যাবে।
স্থানীয় সরকার কর: সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নির্ধারিত হিসাব নম্বরে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
উল্লেখিত ফি ও শুল্কের হার সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সর্বশেষ তথ্যের জন্য স্থানীয় সাব-রেজিস্ট্রি অফিস বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা পরামর্শ দেওয়া হয়।
0 Comments